শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লালমনিরহাটে তুলার চাষে লাভের মুখ দেখছে কৃষেকরা লালমনিরহাটে কর্মসৃজন কর্মসূচি শুরু না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মহীনরা

গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ছে

তৃণমূলের অধিকার বঞ্চিত নাগরিকদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ১৯৭৬ সালে গঠন করা গ্রাম আদালতের কার্যক্রম। কিন্তু লালমনিরহাট জেলায় তা ঝিমিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রাম আদালত কার্যত বন্ধ থাকায় এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্ব স্ব ইউনিয়নের নাগরিকরা।

 

জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের স্থাপিত গ্রাম আদালতে আইনের মধ্যে থেকে ছোট-খাটো বিরোধ সমস্যা কম সময়ে এবং বিনা খরচে মিমাংসা করা হয়। যা তৃণমূল নাগরিকদের মামলার হয়রানি ও অর্থ খরচ কমে আসে। কিন্তু বর্তমানে এজলাসের অবকাঠামোগত সমস্যা, চেয়ারম্যানদের গা ছাড়া ভাব, পরিষদে নিয়মিত উপস্থিত না থাকা, নানা কাজের ব্যস্ততা, লোকবল সংকট ও নানা কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার মোট ৪৫টি ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত।

 

কোন কোন ক্ষেত্রে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম যেভাবে চলার কথা ঠিক সেভাবে চলছে না এমনটি জানিয়েছেন ইউনিয়নের বাসিন্দারা। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, দুটো বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যেমন- স্থানীয় নাগরিকদের ধারণা গ্রাম আদালতের ক্ষমতা খুবই সীমিত। তাছাড়া এ ধরনের আইনী সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি তারা জানেন না। এমনকি এ বিষয়ে প্রচারণার অভাবও রয়েছে।

 

আরও জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত অনধিক মাত্র ২৫হাজার টাকার বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করতে পারত। এখন সেখানে ৭৫হাজার টাকা করা হয়েছে। বিচারক যারা (চেয়ারম্যান) তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি গ্রাম আদালতে সাজা দেয়ার ক্ষমতা থাকত তাহলে হয়তো গ্রাম আদালতের বিচারগুলো আরো একটু গুরুত্ব পেত। এছাড়া গ্রাম আদালত চালু থাকার ফলে বিজ্ঞ জজ কোর্ট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলার চাপ কমে গিয়ে বিচার প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পাবে। গ্রাম আদালতগুলোতে ছোট, ছোট ঘটনা দেওয়ানী এবং ফৌজদারী দু’ধারারই দণ্ডবিধিতে এখানে বিচারের ব্যবস্থা রয়েছে। জেলার বেশির ভাগ ইউনিয়নের গ্রাম আদালতগুলো মূলত: সপ্তাহে একদিন বসার কথা থাকলেও অনেক সময় মাসেও বসে না এমনি অভিযোগ অনেকেরই। ফলে সংকট ও বিভিন্ন কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতগুলো। যাতে করে গ্রাম আদালতে সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ নাগরিকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone